নিজ নিজ ক্ষেত্রে সবাই সফল। তাই, বিস্তর রোজগারও করেছেন। কেউ কেউ বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের তালিকাতেও আছেন। তবে, সাদামাটা জীবনকেই বেছে নিয়েছেন তাঁরা। খুব বেশি লোক দেখানো স্বভাব নেই তাঁদের।
- ওয়ারেন বাফেট: ৮৪.৬০ বিলিয়ন ডলার
বার্কশায়ার হাথাওয়ের সিইও ও চেয়ারম্যান ওয়ারেন বাফেট যে বাড়িতে থাকেন সেটা তিনি ১৯৫৮ সালে কিনেছিলেন ৩১,৫০০ ডলার দিয়ে। তিনি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিত্বদের একজন।
- মার্ক জুকারবার্গ: ৭৩ বিলিয়ন ডলার
পরিবার নিয়ে সাদাসিধে জীবন যাপন করেন ফেসবুকের আবিষ্কারক। সব সময় লাইমলাইটের আড়ালে থাকতে পছন্দ করেন। ফেসবুকেই তাঁর কাজ হলেও চেষ্টা করেন, প্রযুক্তি থেকে নিজে ও নিজের পরিবারকে দূরে রাখতে।
- ইঙভার ক্যাম্পার্ড: ২৩ বিলিয়ন ডলার
আইকা’র ফাউন্ডার ইঙভার ক্যাম্পার্ড অভিজাত জীবন যাপন করেন। এখনো সেই ১৯৯৩ সালের একটা ভলভো গাড়ী নিজেই চালান। বিমানের ইকোনমি ক্লাসে চলাচল করেন, সেকেন্ড হ্যান্ড পোশাক পরিধান করেন।
- আজিম প্রেমজি: ১৭.৬ বিলিয়ন ডলার
আজিম প্রেমজি সেকেন্ড হ্যান্ড রিকন্ডিশন গাড়ি ব্যবহার করেন। বিমানে ইকোনমি ক্লাসে ভ্রমণ করেন। অপচয় একদমই অপছন্দ তাঁর। কর্মীদের বরাবরই লাইট নিভিয়ে যাওয়ার কথা স্মরণ করিয়ে দেন।
- জে.কে. রাওলিং: ৬৫০ মিলিয়ন ডলার
বিশ্বখ্যাত হ্যারি পটার-এর লেখকও বেশ ধনী। নিজের জীবনে একটা সময় অনেক অর্থকষ্টে ভুগেছেন তিনি। তাই এখন, যা আয় করেন তার বড় একটা অংশ তিনি দাতব্য কাজে খরচ করেন।
- কিয়ানু রিভস: ৩৫০ মিলিয়ন ডলার
ম্যাট্রিক্স থেকে কিয়ানু রিভস যা আয় করেছেন তার ৮৫ শতাংশ তিনি দান করেছেন দাতব্য কাজে। তিনি সাধারণ জীবনে বিশ্বাসী। তাই তাকে পাবলিক বাসে যাতায়াত করতে দেখা যায়, পার্কের বেঞ্চে ঘুমিয়ে থাকতে দেখা যায়।
- লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও: ২৪৫ মিলিয়ন ডলার
অবাক করা ব্যাপার হল, স্বনামধন্য এই অভিনেতার কোনো ব্যক্তিগত আরামদায়ক গাড়ী কিংবা কোনো প্রাইভেট জেট নেই। সাধারণ জীবনে বিশ্বাসী এই কিংবদন্তি নিজের উপার্জনের বড় একটা অংশ আশেপাশের সবার মধ্যে বণ্টন করে দেন। একা নয়, চারপাশের সবাই নিয়ে ভাল থাকতে চান তিনি।
- হোসে মুজিকা: ১.৮ মিলিয়ন ডলার
দক্ষিণ আমেরিকার দেশ উরুগুয়ের সাবেক রাষ্ট্রপতি তিনি। বলা হয়, তিনি পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে দরিদ্র রাষ্ট্রপতি। নিজের শাসনামলে যা আয় করেছেন তার ৯০ শতাংশ তিনি বিভিন্ন দাতব্য কাজে দান করেছেন। এখনও তাই করে আসছেন। খুবই সাদামাটা আটপৌঢ়ে জীবন যাপন করেন এই হোসে মুজিকা।
– লাফিঙ কালার্স অবলম্বনে