আপনার সন্তান কি পরীক্ষায় কম নম্বর পাচ্ছে? পড়াশোনা নিয়ে কি তাঁর মনে ভয় ঢুগে গেছে? যত দিন যাচ্ছে ততই কি মনমরা হয়ে থাকছে? স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে নালিশ আসছে? নাকি সে স্কুলের অন্যান্য বাচ্চাদের সাথে মানিয়ে নিতে পারছে না?
যদি, আপনার সন্তানের ক্ষেত্রে এমন কিছু ঘটে তাহলে বুঝে নেবেন ওর সাহায্য দরকার। এই সময়ে দুশ্চিন্তায় না ভুগে সন্তানের পাশে এসে দাঁড়ান। কিছু কৌশল এই সময় অবলম্বন করতে পারেন।
- ভয়কে জয় করুন
স্কুলে অনেকরকম পানিশমেন্ট মেথড চালু আছে। ওসবকে উৎসাহিত করবেন না। বরং তাঁর সাথে কথা বলুন, যাতে করে সন্তানের যোগাযোগ দক্ষতা বাড়ে। তার বিশ্বাসভাজন হউন, যাতে করে সে ভয় কাটিয়ে উঠতে পারে।
তুলনায় যাবেন না
এই ভুলটা কমবেশি সব অভিভাবকই করেন। স্কুলটা যদি আপনার সন্তানের জন্য ‘ফুলসজ্জা’ না হয় তাহলে তাঁর সাথে অন্য কারো তুলনা শুরু করবেন না। এর ফলে উল্টো প্রতিক্রিয়া শুরু হতে পারে। সব সময় আপনার সন্তান নিজের দুর্বলতা নিয়ে ভাববে, তাঁর শক্তিমত্তার জায়গাগুলো ফিঁকে হয়ে যাবে। সবার নিজস্ব কিছু গুণ থাকে। তাঁকে সেটার প্রকাশ ঘটানোর সময় দিন।
- বিধি-নিষেধ আরোপ করবেন না
বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বেশি বিধি-নিষেধ আরোপ করে তাকে একটা গণ্ডীর মধ্যে আবদ্ধ রাখবেন না। সবাই এক ক্ষমতা নিয়ে জন্মায় না। স্কুলের চাপ আপনার সন্তানের জন্য চাপ হতে পারে। রিল্যাক্স, সন্তানের বন্ধু হতে শিখুন।
- অবমূল্যায়ন করবেন না
স্কুলে মানিয়ে নিতে পারছে না মানেই কিন্তু আপনার সন্তান বোকা নয়। তাঁর বুদ্ধিদীপ্ততা নিয়ে সবার সামনে শঙ্কা প্রকাশ করবেন না। বকা ঝকা না করে, তার ভাল দিক গুলোকে বাহবা দিন।
- সব সময় উচ্চাশা করতে নেই
সবাই চায় নিজের সন্তানের উন্নতি দেখতে। তবে, বাস্তববাদী হতে শিখুন। সন্তানের কাছে এমন কিছু আশা করুন যেটা সম্ভব। অবাস্তব-আকাশকুসুম স্বপ্ন দেখবেন না। যদি কোনো কারণে আপনার সন্তান আপনার চাপে সেই স্বপ্নের পেছনে ছুটে, আর সেই স্বপ্ন পূরণ করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে সে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়তে পারে। বরং, তাকে নিজেকে নিজের মত করে স্বপ্ন দেখতে দিন। আপনার সন্তানকে বলুন – তোমাকে সব সময় জিততে হবে না, সব সময় না জিতলে কোনো আকাশ ভেঙে পড়বে না!
– ফেমিনা অবলম্বনে