সিনেমাপ্রেমীরা সব সময় নতুন কিছুর খোঁজ করেন। ভিন্ন কিছু দেখতে তাঁরা বরাবরই ভালবাসেন। নতুন আর বেমানান জুটি তাঁদের মনে অনেক সময় কৌতুহলের জন্ম দেয় তাঁদের মনে। পরিচালক ও প্রযোজকরাও এমন কিছু করে দর্শকদের একটা ‘ধাক্কা’ দিতে চায়।
এই ধাক্কাটা এক রকম জুয়াও বটে। কারণ, কোনো ক্ষেত্রে এটা খুব দারুণ ভাবে সফল হয়, কখনো আবার স্রেফ কৌতুক হয়ে রয়ে যায়। সেসব নিয়েই আমাদের এই আয়োজন।
- জিয়া খান ও অমিতাভ বচ্চন
কিশোরী ও বুড়োর অসম প্রেমের গল্প। ‘নিশাব্দ’ সিনেমায় জিয়া খান ও অমিতাভ বচ্চন বেশ দারুণ ভাবে মানিয়ে গিয়েছিলেন। সাহসী এই সিনেমাটি বেশ প্রশংসিত হয়েছিল।
- হান্সিকা মোতওয়ানি ও হিমেশ রেশামিয়া
গায়ক ও সঙ্গীত পরিচালক হিমেশ রেশামিয়ার অভিনেতা হিসেবে অভিষেক হয় ‘আপ কা সুরুর’ সিনেমায়। বিপরীতে ছিলেন একেবারেই তরুণী হান্সিকা মোতওয়ানি। পর্দায় এই জুটি একদমই জমেনি।
- নাসিরুদ্দিন শাহ ও বিদ্যা বালান
দু’জনই অভিনেতা হিসেবে উঁচু দরের। জুটিবদ্ধ হয়ে তাঁরা দু’টি সিনেমা ইশকিয়া ও ডার্টি পিকচার করেছেন। কখনোই তাঁদের বেমানান মনে হয়নি। বরং মনে হয়েছে, কাজটা তাঁদের চেয়ে ভাল কারো পক্ষে করা সম্ভব ছিল না।
- সানি লিওন ও রাম কাপুর
২০১৫ সালের সিনেমা কুছ তো লোচা হ্যয়। ছোট পর্দার রাম কাপুরের সাথে জুটি বাঁধেন গ্ল্যামারাস রাম কাপুর। অ্যাডাল্ট কমেডি ধাঁচের সিনেমা বক্স অফিসে জমেনি। এমনকি এই জুটিও আলোচিত হয়নি সেভাবে, বরং তাঁদের নিয়ে বেশ হাস্যরস হয়।
- ফারাহ খান ও বোমান ইরানি
২০১২ সালের সিনেমা শিরিন ফরহাদ কি তো নিকাল পারি সিনেমাটি বক্স অফিসে খুব একটা সাফল্য পায়নি। তবে, ভিন্ন ধরণের জুটি হিসেবে ফারাহ খান ও বোমান ইরানি বেশ সুনাম কুড়িয়েছিলেন।
- অমিতাভ বচ্চন ও টাবু
তালিকায় সম্ভবত এই জুটিই সম্ভবত সবচেয়ে আলোচিত। বাবার বয়সী এক ভদ্রলোকের সাথে প্রেমের গল্পে ‘চিনি কম’ সিনেমায় হাজির হন ‘বিগ বি’ খ্যাত অমিতাভ বচ্চন। ও বিপরীতে ছিলেন এভারগ্রিন টাবু। ২০০৭ সালে মুক্তি পাওয়া এই সিনেমাটি প্রশংসার সাথে সাথে বক্স অফিসে কম বেশি সাফল্য পায়।
– বলিবাইটস অবলম্বনে