ছাত্র বয়সে তিনি স্বপ্ন দেখতেন কবি হবেন। কবি হয়ে উঠতে পারেননি তিনি। ব্যর্থ কবি একদিন গদ্যকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন পাঠক সমাজে। আজ আহমেদ ইশতিয়াক এর সাক্ষাৎকার নিচ্ছে অলিগলি.কম।
সব মানুষেরই একটা স্বপ্ন থাকে বলে জানা। আপনার লেখক হ বার স্বপ্ন কীভাবে তৈরি হলো?
আসলে স্বপ্ন ঠিক না, তবে আমার কবি হবার একটা ‘ইচ্ছা’ ছিলো বলতে পারেন। আমার প্রিয় কবি হচ্ছেন পূর্ণেন্দু পত্রী। যখনই আমি পূর্ণেন্দু পত্রীর কবিতা পড়তাম, আমি কেমন একটা ঘোরের মধ্যে চলে যেতাম। একটা সময় মনে হলো, আহা যদি আমি এরকম চমৎকার কবিতা লিখতে পারতাম! কয়েকদিন চেষ্টাও করলাম। দেখলাম যে কিছুই হচ্ছে না। ঈশ্বর আসলে আমাকে এত প্রতিভা দিয়ে পাঠান নি। আমি প্রায়ই একটা কথা শুনি, যে, ব্যর্থ কবিরাই না কি পরে গদ্যকার হন। নিজের ক্ষেত্রে দেখলাম যে কথাটা ঠিকই। কবিতায় ব্যর্থ হয়েই আসলে আমি গদ্য লিখছি। এই তো!
বইমেলায় প্রকাশিত আপনার উপন্যাস ‘মরিবার হলো তার সাধ’ সম্পর্কে যদি বলতেন…
মরিবার হলো তার সাধ আমার দ্বিতীয় উপন্যাস। এবারের বইমেলাতেই প্রকাশিত হয়েছে, এক রঙ্গা এক ঘুড়ি প্রকাশনী থেকে। আচ্ছা, এই বই সম্পর্কে বলি, আমি এই উপন্যাসটা সুররিয়েলস্টিক ধারায় লেখার চেষ্টা করেছি। পুরোপুরি ঠিক না, এক্সপেরিমেন্ট বলা যেতে পারে। কল্পনার সাথে বাস্তবতার একটা মিশেল। প্রেমের উপন্যাস হলেও এটা গতানুগতিক সামাজিক প্রেমের ব্যাপার এখানে নেই ( অসামাজিক কিছু আছে এমনও না কিন্তু আবার!)।
এবারের বইমেলায় ‘মরিবার তার হলো সাধ’ আপনার দ্বিতীয় বই। লেখক হিসেবে পাঠকের কাছে পৌঁছাতে পেরেছেন বলে কি আপনি মনে করেন?
অনেক অনেক পাঠকের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি এমনটা বলবো না, তবে কিছু পাঠকের কাছে পৌঁছাতে পেরেছি, এটা বলতে পারি। অনেকের ভালোবাসাই পাচ্ছি। ব্যাপারটা আমাকে আনন্দ দেয়। আবার অনেকে সমালোচনাও করছেন। এতে আবার কিছুটা কষ্টও পাচ্ছি। সব মিলিয়ে, কী বলবো আর, এই তো, কিছু পাঠকের ভালোবাসা তো পাচ্ছিই।
লেখালেখি নিয়ে আপনার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?
লেখালেখিটা আসলে করি নিজের ভালো লাগা থেকে, আনন্দ নিয়ে। যতদিন আনন্দ পাবো লিখে যাবো। এছাড়া অন্য কোনো কিছুরই পরিকল্পনা নেই।
আপনার লেখনীতে পাঠকেরা হুমায়ূন আহমেদের ছায়া দেখতে পায় বলে, তারা নানান রকমের অভিযোগ তোলে আপনার উপর। আবার অনেকেই বিষয়টা পছন্দ করেছেন। এই বিষয়ে কি আপনি কিছু বলতে চান?
হ্যাঁ, এই কথাটা আমি প্রায়ই শুনি। অনেকে এই কথাটা ভালোবেসে বলে, অনেকে কটাক্ষ করে বলে। এই ব্যাপারে আমার আসলে কিছুই বলার নেই। ব্যক্তিগতভাবে আমি এটা মনে করি যে হুমায়ূন আহমেদের লেখার যে ধারাটা, তার কাছাকাছি যাওয়ার যোগ্যতাও আমার নেই। তারপরেও অনেকে এমনটা বলেন। তা যে যেভাবেই বলুক না কেন আমি ব্যাপারটাকে ভালো ভাবেই নেই। আমার লেখা আমারই প্রিয় লেখকের কাছাকাছি যাচ্ছে এটা শুনলেও তো কানে আরাম লাগে, হাহাহা!