শহীদুল্লাহ হল নিয়ে আমার একটা সুখস্মৃতি বলি। আমি একটা বিষয়ে (টাকা চুরি) কঠিন সিদ্ধান্ত নিয়ে হলের একটি ছাত্রকে হল থেকে বের করে দেবার সুপারিশ করেছি।
সে একটি ছাত্র সংগঠনের কর্তাব্যাক্তি। সংগঠন তার পেছনে দাঁড়িয়ে গেল এবং মিছিল বের করল। মিছিলের শ্লোগান-
‘হুমায়ূন অহমেদের চামড়া,
তুলে নেব আমরা।’
আমি মন খারাপ করে বারান্দায় বসে আছি। হঠাৎ শুনি আমার তিন মেয়ে এবং তাদের এক বান্ধবী (ফ্ল্যাটের হাউস টিউটর সাহেবের মেয়ে) পাল্টা শ্লোগান দিচ্ছে-
‘হুমায়ূন আহমেদের চামড়া,
লাগিয়ে দেব আমরা।’
__________
কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। রসায়ন বিভাগে যোগ দেন ১৯৭৪ সালে।
কর্মজীবনে তিনি ঢাবির মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলের হাউজ টিউটর ছিলেন। সে সময়ের এই অভিজ্ঞতার কথা তিনি লিখে গেছেন তার আত্মজীবনীমূলক ‘বলপয়েন্ট’ গ্রন্থে।
লেখালেখিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় একটা সময় তিনি অধ্যাপনা ছেড়ে দেন৷ যতদূর জানা যায়, শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন।