আপনি ভুল ক্লাসে এসেছেন!

‘ইফ ইও’র দ্য স্মার্টেস্ট পার্সন ইন দ্য ক্লাস, ইও’র ইন দ্য রঙ ক্লাস’

কত সহজ আর কত দুর্দান্ত একটা সংলাপ! হুম, টিভিএফ-এর নতুন ওয়েব সিরিজের একটা সংলাপ এটা। কত সহজ একটা কনসেপ্ট। একদম চোখের সামনে থাকা একটা কনসেপ্টকে কিভাবে পর্দায় তুলে ধরতে হয়, এসব দেখেও যদি আমাদের এখানে কেউ কিছু শিখে।

আমাদের এখানেও এইচএসসি পরীক্ষার পর হাজার হাজার শিক্ষার্থী চলে আসে ঢাকায় কোচিং করতে। কোচিং করে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে ভর্তি হয়ে নিজের জীবন গোছানোর জন্য চলে সংগ্রাম। কিন্তু সবার ভাগ্যেই কি জুটে সেই কাঙ্খিত জীবন? না জুটে না।

কিভাবেই বা জুটবে বলুন?

শুধু মাত্র যদি ভর্তি পরীক্ষার যুদ্ধের জন্য আসা হতো তাহলেও হয়তো হয়ে যেতো। কিন্তু ঢাকায় তো শুধু মাত্র ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আসা ছেলেমেয়েদের শুরুতে এই শহরে মানিয়ে নেয়ার যুদ্ধ করতে হয়।

কোথায় থাকবে, কি খাবে? সবার তো আত্মীয় স্বজন এই শহরে থাকে না। আর থাকলেও এই শহরে কোনো পরিবারে তিন দিনের বেশি আত্মীয় স্বজনকে বোঝা মনে করা হয়, সেখানে তিন চার মাসের জন্য কাউকে!

থাকা খাওয়ার একটা যোগাড় হয়ে গেলে শুরু হয় টিকে থাকার লড়াই। খাবার, পানি, জীবন ব্যবস্থা সব মিলিয়ে প্রতিটা শিক্ষার্থীকেই এক ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। দুঃখজনক হলেও সত্যি বেশিরভাগই শিক্ষার্থী এই শহরে এসে অসুস্থ হয়ে যায়। কোথায় পড়াশোনা করে ভর্তি যুদ্ধে লিপ্ত হবে, তা হওয়ার আগেই শরীর টেকানোর যুদ্ধে নামতে হয়।

এই যুদ্ধে কোন মতে টিকে যাও্যর পর শুরু হয় আসল যুদ্ধ। ভর্তি পরীক্ষা, সিটের অপ্রতুল্যতা, পরীক্ষা সিস্টেম সব মিলিয়ে সে এক ভজঘট অবস্থা সৃষ্টি হয়। প্রতিবছর যে পরিমান এইচএসসি পরীক্ষা পাশ করে তার কত পার্সেন্টের জন্য দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে সিট বরাদ্দ আছে? সব পাশের ব্যাপার না হয় বাদই দিলাম, যতগুলা এ প্লাস পায় তার টেন পার্সেন্ট কি সিট রয়েছে?

এ প্লাস কিভাবে পায় ওই আলোচনায় না যাই, ওটা করতে গেলে আজকে পুরো দিন চলে যাবে।

এই উপরের চিত্র বললাম তা কিন্তু আমাদের চোখের দেখা তবু নাকি আমরা কনসেপ্টের অভাবে ভুগি। এক বুলি আওড়াতে আওড়াতে মুখে ফেনা তুলে ফেললেও আমাদের এখানে খুব কম কিছুই হবে। যেমন হবে না আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতি।

সর্বশেষ