হিন্দি সিনেমায় সবচেয়ে ‘ইউনিক’ ব্যাপার কি? অবশ্যই গান। একটা ভাল কিংবা একটা মন্দ গান, একটা সিনেমার পুরো বানিজ্যিক দৃশ্যপটটাই পাল্টে দিতে পারে। সে কারণেই বলিউডে গায়ক-গায়িকাদের বেশ ‘ডিমান্ড’। পারিশ্রমিকটাও আকাশচুম্বি।
- সুখিন্দর সিং
৫০০-এর ওপর ওপর সিনেমায় গান গাওয়া ‘ছাইয়া ছাইয়া’ খ্যাত এই গায়কের পুরস্কারের কোনো কমতি নেই। তিনি প্রতি গানের জন্য নেন ৬ লাখ রুপি।
- কেকে
কৃষ্ণ কুমার কুনাথ সঙ্গীতাঙ্গনে কেকে নামেই বেশি পরিচিতি। প্রতি গানে তিনি তিন লাখ রুপি নেন। তিনি ‘খুদা জানে’ ও ‘বাচনা অ্যায় হাসিনো’ গানের জন্য বিখ্যাত।
- হানি সিং
ভারতের সেরা র্যাপার ‘ইয়ো ইয়ো’ হানি সিংয়ের বাজার বের চড়া। প্রতিটি গানে তিনি নেন ১৫ লাখ রুপি!
- অরিজিৎ সিং
রিয়েলিটি শো থেকে বলিউডে – অরিজিতের উত্থানের গল্পটা বেশ অনুপ্রেরণাদায়ক। ‘আশিকি ২’ দিয়ে আকাশচুম্বি খ্যাতি পাওয়া অরিজিৎ প্রতিটি গানে নেন ১৩ লাখ রুপি।
- সুনিধি চৌহান
সুনিধি এশিয়ার দর্শকদের ভোটে সবচেয়ে আবেদনময়ী নারীদের মধ্যে শীর্ষ ৫০-এ আছেন। তিনি বলিউডের সেরা নারী প্লে-ব্যাক সিঙ্গারদের একজন। একটি গান গাইতে তিনি নেন নয় লাখ রুপি।
- সনু নিগম
ভারতের সেরা প্লে-ব্যাক সিঙ্গারদের একজন তিনি। হিন্দিসহ ভারতের অনেকগুলো ভাষায় গান গেয়েছেন তিনি। প্রতিটি গানের জন্য তিনি ছয় লাখ রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন।
- শ্রেয়া ঘোষাল
মেলোডিয়াস গানের জন্য বিখ্যাত তিনি। ভারতের সেরা গায়িকাদের একজন এই শ্রেয়া। প্লে-ব্যাকে একটি গানের জন্য তাঁর পারিশ্রমিক সাত লাখ রুপি। তাঁর ঝুলিতে বিখ্যাত সব গান আর পুরস্কারের কোনো কমতি নেই।
- মোহিত চৌহান
‘সিল্ক রুট’ ব্যান্ড থেকে শুরু করেন। নব্বই-এর দশকে তাঁর ডুবা-ডুবা গানটা বেশ বিখ্যাত হয়। এরপর রণবীর কাপুরের ‘রকস্টার’ সিনেমার পর আকাশ ছোঁয়া খ্যাতি পেয়েছেন তিনি। এখন তিনি প্লে-ব্যাকের নিয়মিত মুখ। প্রতিটি গানের জন্য তিনি ছয় থেকে আট লাখ রুপি পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন।
- শান
নব্বই দশকে তাঁর গাওয়া গানগুলো আজো শ্রোতাদের হৃদয় ছুঁয়ে যায়। রোমান্টিক গান গাওয়ায় তাঁর জুড়ি নেই বলিউডে। বলিউডের প্লে-ব্যাকে তিনি প্রতিটি গানের জন্য নেন তিন লাখ রুপি।
- আতিফ আসলাম
একজন পাকিস্তানির জন্য বলিউডের বাজার দখল করা বেশ শক্ত। অথচ, বেশ সহজেই কাজটা করে ফেলেছেন আতিফ আসলাম। হাজারো দর্শকের মন মাতানো আতিফ একটা গান গাওয়ার জন্য আট লাখ রুপি পান।
– বলিউড বাবল অবলম্বনে