রাজকীয় বিয়ের বাদ্য থামলো। প্রিন্স হ্যারির সাথে নতুন জীবন শুরু করলেন অভিনেত্রী মেগান মার্কেল। বিয়ের পর জীবন পাল্টে যাওয়াটা স্বাভাবিক। তবে, রাজ পরিবারে বিয়ে বলে মেগানের জীবনটা একটু বেশিই পাল্টে গেছে। এখন তিনি চাইলেই অনেক কিছু করতে পারবেন না। তাঁর জীবন কাটবে রাজ পরিবারের কড়া বিধি-নিষেধের মাঝে।
- আর নয় অটোগ্রাফ
এখন থেকে আর ভক্তদের অটোগ্রাফ দিতে পারবেন না মেগান। কারণ তিনি এখন রাজপরিবারের ঘরণী। তার সই নকল করে বেআইনী কাজ করে ফেলার ভয় থাকে। যদিও এই অভ্যাসটা বিয়ের আগে থেকেই আয়ত্ব করে ফেলেছেন তিনি। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে তাঁর ১০ বছর বয়সী এক ভক্ত অটোগ্রাফ চাইলে তিনি নিজের নামের পরিবর্তে লিখে দেন, ‘হাই ক্যাটলিন’!
- রাজনৈতিক ভাবে নিরপেক্ষ
মেগান অভিনেত্রী হওয়া বাদেও একজন সক্রীয় সোশ্যাল অ্যাক্টিভিস্ট। তবে, তিনি তাঁর এই পরিচয়টা আর রাখতে পারবেন না। কারণ, রাজপরিবারের নীতি অনুযায়ী তাকে রাজনৈতিক ভাবে নিরপেক্ষ থাকতে হবে। আগের মত চাইলেই, কোনো ইস্যুতে নিজের মত দিতে পারবেন না, এমনকি দেশের নির্বাচনের সময়েও না, এটাই রাজ পরিবারের নিয়ম।
- খালি পায়ে নিষেধাজ্ঞা
যেদিন বাগদানের ঘোষণা দেন, সেদিনও মেগানের হাটুর নিচ থেকে খালিই ছিল। তবে, রাজ পরিবারের হাটু দেখা যায় এমন কোনো পোশাক একেবারেই নিষিদ্ধ। অন্তত বড় মোজা পরতেই হবে।
- ঘুমানোর নতুন সময়
রাজ পরিবারের নিয়ম হল, আগে রানী ঘুমাতে যাবেন। এরপর যাবেন পরিবারের বাকি সবাই। এর আগে তারা সবাই এক সাথে বসে রাতের খাবার সারবেন। কেবল প্রিন্সেস ডায়ানা এই নিয়ম ভেঙে রানীর আগে ঘুমাতে যেতেন। মেগান কি ডায়ানার জায়গা নেবেন? না, রানীর সুদৃষ্টিতে থাকবেন?
- পর্দার জীবনের ইতি
রাজ পরিবারের কেউ পর্দায় অভিনয় করতে পারবে না। এই ব্যাপারে করা বিধিনিষেধ আছে। মেগান অবশ্য বাগদানের আগেই তার টেলিভিশন সিরিট ‘সুটস’ ছেড়ে দিয়েছেন।
- একা চলাচলে বাঁধা
এখন থেকে মেগান আর একা চলাচল করতে পারবেন। নিরাপত্তার কড়া প্রটোকল থাকবে তঁর সাথে। এমনকি বাগদানের সময় থেকেই তাঁর সাথে সব সময় ছয় জন নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোতায়েন করা হয়েছে। চাইলেই হঠাৎ করে কোথাও বেড়াতে যেতে পারবেন না। অন্তত ছয় মাস আগে পরিকল্পনা করতে হবে।
– লাফিঙ কালার্স অবলম্বনে