মুরগির বাচ্চা গুলো খানিক অস্বাভাবিক আচরণ করছিল!
এই কারণে একটা দেশের পুরো বিমান বাহিনী, ওই মুরগীরর খামারি’র মালিকের কাছে ক্ষমা চেয়েছে; ক্ষতি পূরণ দিয়েছে!
বছর দশেক আগের কথা হবে। সুইডেনর এক পত্রিকার শিরোনাম ছিল- ‘মুরগীর খামারি’র কাছে বিমান বাহিনীর ক্ষমা প্রার্থনা!’
সুইডেনের বিমান বাহিনীর কিছু বিমান তাদের নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে এক মুরগীর খামারের উপর দিয়ে উড়ে যাবার সময় বিকট শব্দ হওয়াতে বাচ্চা মুরগি গুলো ভয় পেয়ে যায় খুব।
এর কিছুদিন পর এই মুরগি গুলো কিছুটা অস্বাভাবিক আচরণ শুরু করলে, ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবার পর জানা যায়-ওই শব্দের জন্য এরা মানসিক সমস্যায় ভুগছে!
এই কথা শুনে ওই খামারি পুরো বিমান বাহিনীর বিরুদ্ধে মামলা ঠুকে দেয়।
শেষমেশ বিমান বাহিনী ওই খামারি’র কাছে ক্ষমা চেয়েছে এবং ক্ষতি পূরণও দিয়েছে। সেই সঙ্গে তারা বলেছে- তাদের উচিত হয়নি ওই এলাকায় এতো নিচ দিয়ে বিমান চালিয়ে যাওয়া!
কয়দিন আগে ঢাকার রাস্তায় হাত হারানো ছেলেটা মারা গিয়েছে। কাল মারা গেল পা হারানো রোজিনা।
আচ্ছা, কেউ কি এই জন্য ক্ষমা চেয়েছে?
আমাদের সড়ক মন্ত্রী কিংবা এর সঙ্গে জড়িত এমন কেউ কি এই সব ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছে? এদের বিরুদ্ধে মামলা করে দিলে, এরা কি আদৌ ক্ষমা চাইবে? নাকি আত্মীয়-স্বজন যারা মামলা করবে, উল্টো তাদেরই গুম হয়ে যেতে হবে?
আমাদের জীবন কি মুরগির চাইতেও মূল্যহীন?