ভদ্রলোকের নাম ওয়্যাং। মধ্য-পূর্ব চায়নার হেনান প্রোভিন্সের বাসিন্দা। সাধারণ তার জীবন, তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করা দুস্কর।
যদিও, ৪৪ বছর বয়সী ওয়্যাং স্থানীয়দের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। সবাই তাকে ‘মিশেলিনের বাবা’ নামে চেনে। ব্যাপারটা আসলে কী? – বর্ণনা শুনে মনে এমন প্রশ্ন জাগাটা খুব স্বাভাবিক।
চলুন এবার রহস্য ভাঙা যাক।
ওয়্যাং মূলত মেয়ের যত্ন নিতে গিয়ে বিখ্যাত হয়ে গেছেন। গত পাঁচ বছর হল তিনি রোজ সকালের নাস্তার টেবিলে তিনি মেয়ের জন্য উপাদেয়, মুখরোচক ও আকর্ষণীয় সব খাবার পরিবেশন করে আসছেন।
তিনি অবশ্য পেশাদার কোনো বাবুর্চি নন। তবুও, তার রান্না গুলোর ছবি দেখে মনে হবে, সেসব রেস্টুরেন্টের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়।
আর এটা করতে ওয়্যাংকে কম ঝক্কি পোঁহাতে হয় না। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠেই তাই দৌঁড় লাগান বাজারের উদ্দেশ্যে। তাও সেটা আলো ফোটার সাথে সাথে। মেয়েকে সবচেয়ে ভাল আর টাটকাটা খাওয়ানো চাই।
সবজি, মাছ-মাংস আর রান্নার অন্যান্য সরঞ্জাম কিনে বাড়ি ফেরেন। লেগে যান রান্নার কাজে। মেয়ের জন্য আলাদা একটা রেফ্রিজারেটরও কিনে ফেলেছেন তিনি।
এবার বোঝা গেল তো, কেন তাকে মিশেলিনের বাবা নামে সবাই চেনে? মেয়েকে তৃপ্তি নিয়ে খেতে দেখার মাঝেই যে নিজের জীবন, নিজের সুখ খুঁজে নিয়েছেন এই বাবা।
সত্যিই, বাবারাই সত্যিকারের সুপারম্যান!
– চায়না গ্লোবাল টিভি নেটওয়ার্ক অবলম্বনে