মানুষের জীবনে শেষ বলে কিছু নেই। জীবনে কোনো কিছু অপরিবর্তনশীল নয়। পথ চলতে গিয়ে এমন অনেক অভাবনীয়, অপরিকল্পিত বিষয় সামনে চলে আসে যা আমাদের থমকে দেয়। তারপরও জীবন চালিয়ে নিতে হয়। এজন্যই তো জীবন সত্যিই একটা যুদ্ধ। সাধারণ মানুষের মত সেলিব্রিটিদের ক্ষেত্রেও এই কথাগুলো সত্য।
তাহসান রহমান খান ও রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা – বলা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের শোবিজ অঙ্গণে সবচেয়ে জনপ্রিয় জুটিগুলোর একটি। অথচ, সেই তারাই আজ আলাদা হতে চলেছেন। কাগজে-কলমে ডিভোর্স নিতে চলেছেন তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা চলে এসেছে। দেশের শীর্ষ মিডিয়াগুলো খবরও ছেপে ফেলেছে।
এরপর থেকেই ঘটনাটা নিয়ে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা আর তর্ক-বিতর্ক চলছে। অনেকে যেমন জনপ্রিয় এই জুটির বিচ্ছেদ মেনে নিতে পারছেন না আবার অনেকে কড়া ভাষায় দু’জনের সমালোচনা করছেন। কেউ বা দু’জনকে নিয়ে নানারকম কুরুচিপূর্ণ ট্রল করছেন।

রুপালী পর্দার তারকাদের নিযে সমালোচনা হতেই পারে। সেটা আমাদের দেশে কিংবা বহির্বিশ্বে খুব কমন ঘটনা। তবে, এই সমালোচনায় বা ট্রলিংয়ে তাদের ব্যক্তিগত জীবনটাকে দূরে রাখা উচিৎ।
তাহসান আর মিথিলার সম্পর্কটা অনেকদিন ধরেই ভালো যাচ্ছিলো না । পত্র-পত্রিকার কাছে খবর চলে গিয়েছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছিল গুঞ্জন। একবার ভাবুন তো, এই দম্পতির ওপর কী ঝড়টাই না যাচ্ছিল!
২০০৪ সালে প্রেমের সম্পর্কের সূচনা হয়। এরপর ২০০৬ সালের তিন আগস্ট সম্পর্কটা পাকাপোক্ত করে ফেলেন তাহসান-মিথিলা। তাদের একটি কন্যা সন্তান আছে – আইরা তাহরিম খান। তাহসান একাধারে জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতা; ঢাকার শীর্ষ একটা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। মিথিলা নিয়মিত মডেলিং আর অভিনয়ে ব্যস্ত। সব মিলিয়ে সুখের সংসারই তো ছিল।
নিশ্চয়ই এমন কোনো সমস্যা হয়েছিল যে কারণে ১১ বছরের লম্বা বিয়ের সম্পর্কের ইতি টানতে তারা বাধ্য হয়েছেন। একে অন্যের প্রতি কাঁদা ছোড়াছুঁড়ি ছাড়া, একে-অন্যকে দোষারোপ করা ছাড়াও বিচ্ছেদ হতে পারে, নোংরামি, কোনো রকম গসিপ ছাড়াও যে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় বিচ্ছেদ হতে পারে – সেটা দাম্পত্যের শেষ সময়ে এসে তাহসান-মিথিলা বুঝিয়ে দিয়ে গেলেন। আমাদের উচিৎ তাদের এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার প্রক্রিয়াকে সাধুবাদ জানানো।
তাহসান-মিথিলার একমাত্র কন্যা সন্তান এখনো শৈশবের গণ্ডী পেরোয়নি। আসুন, আমরা এমন কিছু না করি যাতে ভবিষ্যতে তাকে বিব্রত হতে হয়, ভবিষ্যতে তাকে ছোট হতে হয়!