স্বাস্থ্যই সম্পদ। আর সেই সম্পদের রক্ষণাবেক্ষণও করা চাই। সুঠাম শরীরের অধিকারী হতে এখন অনেকেই জিমের দ্বারস্থ হন। আর জিম ব্যবহারের ক্ষেত্রে এর শিষ্টাচার-বিধিটাও মাথায় রাখা দরকার। ব্রাইট সাইড অবলম্বনে জিম শিষ্ঠাচারের আটটি বিধি অলিগলি.কমের পাঠকদের সামনে উপস্থাপন করা হল।
১. জিমের সামগ্রী ঘর্মাক্ত করে রেখে যাবেন না। জিমে ফিটনেস ট্রেনিংয়ের সময় ঘামঝড়া খুবই স্বাভাবিক। তবে, ট্রেনিং শেষে নিজেই সেটা পরিস্কার করে ফেলা উচিৎ। জিমে অধিকাংশ মেশিনই চামড়ার আবরণ দেওয়া। ফলে, ঘাম মুছে না দিলে সেটা শুকিয়ে যাওয়ারও উপায় নেই।
২. কোনো কাজ ছাড়া জিমের সরঞ্জাম দখল করে রাখবেন না। অনেককেই কোনো মেশিনে বসে মোবাইল টেপাটিপি করতে, সেলফি তুলতে; এমনকি ঝিমোতেও দেখা যায়। এটা একেবারেই জিমের শিষ্ঠাচার বিরোধী।
৩. জিমে থাকাকালীন সময়ে জোরে জোরে মোবাইল ফোনে কথা বলবেন না। এটা অন্যদের বিরক্ত করে। আবার, ফোনে জোরে গান বাজানোও ঠিক নয়। নিতান্ত গান শুনতে হলে হেডফোন ব্যবহার করা ভাল।
৪. জিমে সবার সমান সুযোগ পাওয়া উচিৎ। যখন জিমে দেখবেন পর্যাপ্ত সরঞ্জামের অভাব আছে তাহলে, অতিরিক্ত সময় একই যন্ত্রে ব্যয় না করাই ভাল। ধরেন, আপনি যদি ট্রেডমিলে ঘণ্টাদুয়েক সময় কাটিয়ে দেন, তাহলে বাকীরা কী করবে?
৫. জিমের সরঞ্জাম এলোমেলো করে রেখে চলে যাওয়া উচিৎ না। ট্রেনিং শেষে গুছিয়ে ফেলা উচিৎ। বিশেষ করে জিমের ফ্লোরে ‘ডাম্বল’ রেখে চলে আসবেন না। সেগুলোকে নির্ধারিত জায়গায় রাখুন। কেউ, তাতে হোঁচট খেয়ে পড়লে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
৬. ধরুন, কেউ জিমের কোনো সরঞ্জাম ব্যবহার করছেন। হয়তো বা, একটু বেশি সময় নিয়েই ব্যবহার করছেন। এই সময় বারবার তার কাছে গিয়ে তাগাদা দেওয়াও শিষ্ঠাচার বিরোধী।
৭. জিমের কোনো ট্রেনিং সেশনটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্লাসের মতই। এখানে সময় মত উপস্থিত থাকা উচিৎ। দেরী করে আসলে ইন্সট্রাক্টর আর সেশনে অংশ নেওয়া অন্যদের মন:সংযোগে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
৮. মনে রাখবেন, জিমের লকার রুম আপনার নিজস্ব ওয়াশরুম নয়। ফলে, নিজের প্রয়োজনীয়তা দ্রুত সেরে নিন আর অন্যকে সুযোগ করে দিন।